প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যে একটাই চিন্তা থাকে অবসরকালীন জীবনে কীভাবে নিশ্চিন্তে থাকা যায়। ঠিক কত পরিমাণ অর্থ সঞ্চিত থাকলে নিশ্চিন্তে জীবন কাটানো যাবে। এই নিয়ে নানা মুনির নানা মত। একেক রকম বিশেষজ্ঞ মতামত আছে এর নিয়ে। এনিয়ে আসুন বিভ্রান্তি দূর করা যাক আজকের প্রতিবেদনে। অবসরকালীন সঞ্চয় হিসেবের সব থেকে কার্যকরী নিয়ম হল ৩০X(গুণ) রুল।
৩০X রুল হল এমন একটি নিয়ম যেখানে একজন ব্যক্তির অবসরকালীন জীবনে কত টাকা প্রয়োজন হতে পারে সে বিষয়ে অনুমাণ করা। এক্ষেত্রে ব্যক্তির বার্ষিক ব্যয়কে গুণ করা হয় ৩০ দিয়ে এবং যা গুণফল বেরোয় সেই পরিমাণ টাকা হল ব্যক্তির অবসরকালীন খরচের পরিমাণ। ধরা যাক কোনো ব্যক্তির মাসিক খরচ ২৫ হাজার টাকা। তাহলে তাঁর বার্ষিক খরচ হবে ২৫ হাজার × ১২ = ৩ লক্ষ টাকা। তাহলে ৩০X নিয়ম অনুযায়ী অবসরের সময় তার প্রয়োজন হবে ৩ লক্ষ × ৩০ = ৯০ লক্ষ টাকা।
আবার গোটা পৃথিবী জুড়ে জনপ্রিয় হল ২৫X রুল। এক্ষেত্রে বার্ষিক ব্যয়ের ২৫ গুন অবসরকালীন মূলধন হবে। এই রুলের ই বর্ধিত রূপ হল ৩০X রুল।
আরও পড়ুন: Income Tax: নজির গড়ল ভারতের আয়কর বিভাগ, রিটার্ন জমার সময়সীমা কী বাড়ছে?
তবে এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে যেকোনো রুল-ই হল অনুমান নির্ভর। যেকোনো ক্ষেত্রে সঞ্চয়ের পরিমাণ নির্ভর করে ব্যক্তি চাহিদা ও পরিস্থিতির ওপর। তাই সঞ্চয় সদাই পরিবর্তনশীল। সবক্ষেত্রেই তাই রুল কে মাথায় রেখে বিবেচনা সপেক্ষে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
অবসরকালীন সঞ্চয়ের পরিমাণ হিসেব করতে বসলে কয়েকটি ফ্যাক্টর মাথায় রাখা খুবই জরুরী। যেমন অবসরকালীন সঞ্চয়ের জন্য যেখানে বিনিয়োগ করা হচ্ছে সেখানে নিশ্চিত রির্টানের পরিমাণ কত, কত মেয়াদে এই বিনিয়োগ হচ্ছে, অবসরকালীন সময়ে বাজার অবস্থা কেমন থাকবে, মুদ্রাস্ফীতির হার কেমন থাকবে ইত্যাদি।
আরও পড়ুন: ১০০ টাকারও কমে আনলিমিটেড কলিং দিচ্ছে BSNL! খুশির হওয়া গ্রাহকমহলে
মোট কথা হল অনুমান যেমন সঠিক হতে পারে আবার তেমনি মিলতে নাও পারে। তবে অবসরকালীন সময়ের কথা ভেবে এখন থেকেই সঞ্চয় করা উচিত অল্প অল্প করে। কারণ ভবিষ্যতে কী হবে আমরা কেউ আগাম বলতে না পারলেও মোটা টাকা সঞ্চিত থাকলে নিশ্চিন্ত ও আরামের জীবন কাটানো যাবে।