Money Making Tips : এই বিদেশি ফল থেকে আপনিও প্রচুর টাকা উপার্জন করতে পারবেন! জেনে নিন পদ্ধতি

Business Idea: এক নতুন ধরনের চাষের কথা আজ এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানবো। এখানে একটি বিদেশি ফলের চাষ সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। এই ফলটির নাম হল প্যাশন ফ্রুট। এই বিদেশি ফলের‌ই চাহিদা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে। ফলে বিভিন্ন রাজ্যে শুরু হয়েছে এই ফলের চাষ। আমাদের রাজ্যের দক্ষিণ দিনাজপুরে এই বিদেশি ফলের চাষ করে নজির সৃষ্টি করলেন জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত তালমন্দিরা এলাকার বাসিন্দা কৃষক মিঠু বর্মন।

এই প্যাশন ফ্রুটের স্বাদ কিন্তু অনান্য পরিচিত ফলের থেকে অনেকটাই আলাদা। এই ফলের ভিতরে আছে থকথকে জেলির মত অংশ যেটিকে মূলত খাওয়া হয়ে থাকে। এই জেলির মতো অংশটিতে রয়েছে অনেক ছোট ছোট বীজ। এই ফলটি চাষ করা হয় মূলত অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা সহ পাশ্চাত্যের অনেক দেশে। সাম্প্রতিক কালে আমাদের দেশের কেরালায় এই ফলের চাহিদা ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

বর্তমানে কৃষকরা প্রথাগত চাষের বদলে বাণিজ্যিক চাষের দিকে বেশি ঝুঁকছে। এর কারণ হল চাল, গম, ডাল এসব চাষ করার বদলে বাণিজ্যিক ফসল চাষে লাভ বেশি। এই প্যাশন ফ্রুট মূলত দুইভাবে চাষ করা হয়। দেখা গিয়েছে কাটিং ও গ্রাফটিং পদ্ধতিতে গাছের বংশবিস্তার করালে তার ফলন খুব ভালো হয়।

আরও পড়ুন: দোকানে ছোট ১ টাকা নিচ্ছেনা? ৯৯% মানুষই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই নিয়ম জানেন না

এই প্যাশন ফ্রুটের চারা রোপণ করার সঠিক সময় হল মে থেকে অগাস্ট মাস। চারা রোপণ করার জন্য প্রথমে মাটিতে গর্ত করে তাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে গোবর সার ও ইউরিয়া দিতে হয়। মাটিতে যদি উপযুক্ত পরিমাণ রস থাকে তবে ফলন খুব ভালো হয়। কিন্তু বর্ষাকালে গাছের গোড়ায় কোনভাবেই জল না জমতে দেওয়া যাবেনা।

মিঠু বর্মন আমাদেরকে জানান, অনেকদিন ধরেই তিনি বিকল্প ফসল চাষ করে আসছেন। এর আগে তিনি ড্রাগন ফল সহ অন্যান্য বিদেশি ফলের চাষও করেছেন। তারপর প্যাশন ফ্রুটের কথা জানতে পেরে বাইরের রাজ্য থেকে এই ফলের বীজ আনিয়ে চাষ শুরু করেন। অবশেষে এই কাজে তিনি সাফল্য পেয়েছেন। যদিও তার জেলা দক্ষিণ দিনাজপুর সহ এরাজ্যে তেমন ভাবে এই ফলের চাহিদা না থাকলেও বাইরের রাজ্যগুলিতে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই তিনি পরিচিতদের মাধ্যমে এই ফল সম্পর্কে বাকিদের পরিচয় করাতে চাইছেন।

আরও পড়ুন: ২.৩৩ কোটি টাকা রিটার্ন পাবেন মাসিক ১০০০ টাকা বিনিয়োগ করেই! দেখে নিন SIP-এর জাদু

এই ফলের একটি গাছ থেকে বছরে দুবার ফলন পাওয়া যায়। প্রথম ফুল আসে মার্চ-এপ্রিল মাসে আর ফল পাওয়া যায় জুন জুলাই মাসে। দ্বিতীয়বার ফুল আসে জুলাই-আগস্ট মাসে আর ফল পাওয়া যায় ডিসেম্বর জানুয়ারি মাসে। অর্থাৎ একটি ফুল থেকে ফল পেতে সময় লাগে ৬০-৯০ দিন।

আরও পড়ুন: Airtel Recharge Plan: ৩০ দিন পর্যন্ত রিচার্জ থেকে মুক্তি! হাইস্পিড ডেটা সহ আনলিমিটেড কলিং-এর প্ল্যান দেখে নিন

গাছ প্রতি ৫-১০ কেজি ফল সহজেই পাওয়া যায়৷ ভারত সহ বিশ্বের বাজারে এই ফলের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। এই ফলের চাষ কৃষকদের ভালো পরিমাণে লাভের মুখ দেখাতে পারে। এরাজ্যের মানুষ এই ফল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলে এরাজ্যেও এর চাহিদা ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদী মিঠু বর্মন।

আরও পড়ুন: ২.৩৩ কোটি টাকা রিটার্ন পাবেন মাসিক ১০০০ টাকা বিনিয়োগ করেই! দেখে নিন SIP-এর জাদু

Leave a Comment